বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশন (গভঃ রেজিঃ নং এস-১০২৮/৯৮) ১৯৮৪ সালে সময়ের প্রয়োজনে শাহজাদা মোহাম্মদ আলী এ সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠাকালীন চেয়ারম্যান ছিলেন খন্দকার রইসুল আলম মহাসচিব শাহজাদা মোহাম্মদ আলী। এ সংগঠন গড়ে তুলতে উৎসাহিত করেছিলেন তখনকার সচিব জনাব সৈয়দ মার্গুর মোর্শেদ। বর্তমানে তিনি প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে সংগঠনের সুখে দুঃখে পরামর্শ দিয়ে আসছেন।প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্যগণও উপদেষ্টা হিসেবে সংগঠন সাথে যুক্ত রয়েছেন।
কিন্ডারগার্টেন পরিবারকে এক জায়গায় জড়ো করেছিলেন বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের ব্যানারে শিক্ষক নেতা শাহজাদা মোহাম্মদ আলী। তিনি বাংলাদেশের এ প্রান্ত থেকে ঐ প্রান্তে ছুটে ছিলেন কিন্ডারগার্টেন এর পক্ষে জনমত গড়ে তুলতে।
কঠিন সময়ে সরকারের নানা মহলের নিকট তুলে ধরেছেন কিন্ডারগার্টেনের প্রয়োজনীতা।
তার স্বপ্নে গড়া সংগঠন যখন দেশব্যাপী শাখা প্রশাখায় বিস্তার লাভ করেন তখন কিছু পদলোভী সংগঠন বিরোধী কর্মকান্ডে লিপ্ত হয়।
এ সংগঠনকে সামনে এগিয়ে নিতে একঝাঁক তরুণ নেতৃত্ব সহযোগী হিসেবে বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের কর্ম তৎপরতায় সাংগঠনিক শাখা বিস্তার লাভ করতে থাকে।
শাহজাদা মোহাম্মদ আলী স্যারের ইন্তেকালে কিন্ডারগার্টেন জগতে নেমে আসে শোকের ছায়া। এ শোক কে শক্তিতে রূপান্তরিত করে নতুন উদ্যোগে এসোসিয়েশন কে এগিয়ে নিতে তখন তরুণ বিশ্বস্ত কান্ডারী হয়ে সামনের কাতারে চলে আসেন শিক্ষক নেতা মো: মিজানুর রহমান সরকার।
তিনি ১৯৯৪ সালে নির্বাহী সদস্য, ১৯৯৮ সালে সমাজ কল্যাণ সম্পাদক, ২০০৩ সালে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ২০১৮ সালে মহাসচিব এবারেও ২০২৪ সালে মহাসচিব নির্বাচিত হন। পদের চেয়ে কর্মতৎপরতায় সংগঠনের অপরিহার্য হয়ে উঠেন মিজানুর রহমান।
একসময় নির্বাহী সদস্য থেকে মহাসচিব জনাব মো:মিজানুর রহমান সরকার প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব শাহজাদা মোহাম্মদ আলী’র অপূর্ণ দাবী নিয়ে মাঠে নামেন।দাবী আদায়ের রাজপথ থেকে সচিবালয় নানাভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশন।
বিভিন্ন দাবীর ফলশ্রুতিতে ২০০৯ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জনাব আবু আলম মোঃ শহিদ খান কে সভাপতি করে কমিটি গঠন করেন। সে কমিটির সদস্য ছিলেন মো: মিজানুর রহমান সরকার। তখন তিনি যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের মাধ্যমে বোর্ড বই প্রদানের সিদ্ধান্ত হয়। এবং নিবন্ধন এর বিষয়ে জোড়ালো ভুমিকা রাখেন প্রচার বিমুখ মিজানুর রহমান সরকার। তাঁর নেতৃত্বে সরকারি বই যায় কিন্ডারগার্টেন স্কুলে স্কুলে ।
নিবন্ধন নিয়ে দফায় দফায় আন্দোলন সংগ্রামে বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশন এর হয়ে নেতৃত্ব দেন মিজানুর রহমান সরকার। যার সুবিধা ভোগ করেন সারা দেশের কিন্ডারগার্টেন স্কুল সমূহ।
কিন্ডারগার্টেন পরিবারের দু:খ সহজে ছাড়ে না। মহামারী করোনাকালীন সময়ে যখন নেতৃস্থানীয় নেতৃত্ব করোনার ভয়ে ঘরে আরাম আয়েশ করছে তখন মিজানুর রহমান সরকার কিন্ডারগার্টেন কে বাঁচাতে সরকারের নিকট ১৭ মে ২০২০ সালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে একই বক্তব্যে আলোড়ন সৃষ্টি করেন। ব্যতিক্রম ধর্মীয় এ আন্দোলনের সংবাদ সে দিন বিভিন্ন মিডিয়াতে প্রচার করে ।
এদেশের ইতিহাসে একই দিনে জাতীয় সংসদের মাননীয় সংসদ সদস্য ও জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারক লিপি প্রদান করেন।২০ সালের ৭ মে সাংবাদিক সম্মেলন করে প্রধানমন্ত্রীর নিকট যুক্তিক দাবী তুলে ধরেন।
২০২০ সালে ১জুন, ১৮আগষ্ট মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারক লিপি প্রদান করেন। তিনি কিন্ডারগার্টেন ও সমমান স্কুল রক্ষা জাতীয় কমিটির আহবায়ক হিসেবে অগ্রনী ভুমিকা পালন করেন।
সরকারের নিকট স্কুল খুলে দেওয়া ও আর্থিক সহযোগিতার দাবিতে জেলায় জেলায় মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
প্রাথমিক ও গণ শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎকারে তুলে ধরেন কিন্ডারগার্টেন স্কুলের অপরিহার্যতা। তিনি এ জায়গায় সফলও হয়েছেন। এক সাক্ষাৎকারে প্রতিমন্ত্রী কিন্ডারগার্টেন পরিচালকদের শিক্ষাউদ্যোক্তা কে বলতে বাধ্য হন।
শাহজাদা মোহাম্মদ আলী এর যোগ্য মহাসচিব হিসেবে মিডিয়ার সাথে, প্রশাসনের সাথে সাক্ষাৎকারে কিন্ডারগার্টেন ব্যবসায়ি নয় শিক্ষাউদ্যোক্তা হিসেবে উপস্থাপন করতে পেরেছেন।
বর্তমানে নিবন্ধনে বিগত দিনের নিবন্ধন নীতিমালা থেকে অনেক সহজ করার ব্যাপারে মহাসচিব জনাব মো: মিজানুর রহমান সরকারের ছিল অগ্রনী ভুমিকা। এ বিষয়ে জন প্রসাশন মন্ত্রনালয়েও বৈঠক করেন।
বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশন এর ৪০ বছরের সাংগঠনিক তৎপরতার কারনে অনেক দাবী আদায়ের রাজপথ ও সরকারের উচ্চমহলে অগ্রনী ভুমিকা পালন করেন।
মহাসচিব মো: মিজানুর রহমান সরকারের সাহসী নেতৃত্বের কারনে আজ বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশন ৬৪ জেলায় সাংগঠনিক ভাবে শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে।
৪০ বছরের স্বর্ণালী পথ চলার প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব মরহুম শাহজাদা মোহাম্মদ আলী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। তাঁরই সুযোগ্য বর্তমান মহাসচিব মো : মিজানুর রহমান সরকার ও তাঁর সহযোগী নেতৃবৃন্দ এর কর্মকান্ডে বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় কিন্ডারগার্টেন স্কুলে দাবী আদায়ের সাহসী ভুমিকা পালন করছেন আগামীতে ব্যাপক ভুমিকা পালন করবে ৪০ বছর উদযাপনের এ প্রত্যাশা ।
আগামী দিনেও বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশন পতাকা নিয়ে মহাসচিব জনাব মো: মিজানুর রহমান সরকার চেয়ারম্যান মিসেস মনোয়ারা ভুঁইয়া’র সহযোগিতায় অগ্রনী ভুমিকা পালন করবে।
চট্টগ্রাম অঞ্চলে বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশন সুসংগঠিত অবস্থান রয়েছে। যা অতীতের কেন্দ্রীয় কর্মসুচি বাস্তবায়নের তারই প্রমান।
বাংলাদেশের কিন্ডারগার্টেন জগতের প্রথম সংগঠনের বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশন এর ৪০ বছরের স্বর্ণালী পর্দাপনে বিকেএ বড় সাফল্য। এ সাফল্যের জন্য দেশের কিন্ডারগার্টেন পরিবারকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাছি। দেশব্যাপী নানা আয়োজনে এসোসিয়েশনের ৪০বছর উদযাপিত হয়েছে।
শিশু শিক্ষায় কিন্ডারগার্টেন দেশে ৩০ ভাগের বেশি অবদান রাখছেন। কিন্ডারগার্টেন নিবন্ধন নীতিমালা আরো সহজকরনের জন্য সরকারের নিকট দাবী জানাচ্ছি।
লেখক:
কাজী মোহাম্মদ সরোয়ার খান মনজু
সাধারণ সম্পাদক
বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশন চট্টগ্রাম অঞ্চল।
১২:৪৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪
News Title :
বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের ৪০ বছর উদযাপনে আমাদের চাওয়া পাওয়া
- কিন্ডারগার্টেন দর্পণ
- আপডেট সময় : ০৫:০৯:০৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জুলাই ২০২৪
- ৯৪ Views :
Tag :
সর্বাধিক পঠিত