০৯:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নতুন শিক্ষাক্রম বাতিল করেছে এনসিটিবি

নতুন শিক্ষাক্রম বাতিল করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলাম।

নতুন শিক্ষাক্রম বাতিল ও পাঠ্য বিষয়ের ব্যাপক সংশোধন করাসহ শিক্ষাক্ষেত্র সংস্কারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে ৯ দফা প্রস্তাব জানিয়েছে শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোট। বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর পাঠানো এক চিঠিতে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়।

এদিকে নতুন শিক্ষাক্রম বাতিলের দাবিতে রাজশাহীতে মানববন্ধন হয়েছে। শনিবার বেলা ১১টার দিকে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) সামনে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এতে প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থী ও অভিভাবক অংশ নেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আগের সৃজনশীল শিক্ষাব্যবস্থার চেয়ে নতুন চাপিয়ে দেওয়া কারিকুলাম শিক্ষার্থীদের পিছিয়ে দিচ্ছে। একদিকে নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থীরা বই পড়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। অন্যদিকে তারা বিভিন্ন ধরনের ডিভাইসে আসক্ত হচ্ছে। মেধা যাচাই-বাছাইয়ে পরীক্ষাও নেই। মূল্যায়নপদ্ধতিও ভালো নয়। সাংকেতিক চিহ্ন ত্রিভুজ, চতুর্ভুজ দিয়ে শিক্ষার্থীদের মেধাকে মূল্যায়ন করা সম্ভব নয়। এটি সরকার হুট করে চাপিয়ে দিয়েছে। তাঁদের কোনো পূর্বপ্রস্তুতিও ছিল না। এভাবে তাঁরা শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস হতে দিতে পারেন না। নতুন সরকারকে শিক্ষাব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে হবে।

Tag :

নতুন শিক্ষাক্রম বাতিল করেছে এনসিটিবি

আপডেট সময় : ০৩:১১:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৪

নতুন শিক্ষাক্রম বাতিল করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলাম।

নতুন শিক্ষাক্রম বাতিল ও পাঠ্য বিষয়ের ব্যাপক সংশোধন করাসহ শিক্ষাক্ষেত্র সংস্কারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে ৯ দফা প্রস্তাব জানিয়েছে শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোট। বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর পাঠানো এক চিঠিতে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়।

এদিকে নতুন শিক্ষাক্রম বাতিলের দাবিতে রাজশাহীতে মানববন্ধন হয়েছে। শনিবার বেলা ১১টার দিকে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) সামনে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এতে প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থী ও অভিভাবক অংশ নেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আগের সৃজনশীল শিক্ষাব্যবস্থার চেয়ে নতুন চাপিয়ে দেওয়া কারিকুলাম শিক্ষার্থীদের পিছিয়ে দিচ্ছে। একদিকে নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থীরা বই পড়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। অন্যদিকে তারা বিভিন্ন ধরনের ডিভাইসে আসক্ত হচ্ছে। মেধা যাচাই-বাছাইয়ে পরীক্ষাও নেই। মূল্যায়নপদ্ধতিও ভালো নয়। সাংকেতিক চিহ্ন ত্রিভুজ, চতুর্ভুজ দিয়ে শিক্ষার্থীদের মেধাকে মূল্যায়ন করা সম্ভব নয়। এটি সরকার হুট করে চাপিয়ে দিয়েছে। তাঁদের কোনো পূর্বপ্রস্তুতিও ছিল না। এভাবে তাঁরা শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস হতে দিতে পারেন না। নতুন সরকারকে শিক্ষাব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে হবে।