১১:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সব প্রতিষ্ঠানেই নতুন অ্যাডহক কমিটি হবে

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা

দেশের সব বেসরকারি স্কুল-কলেজে নতুন করে এডহক কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে শিগগিরই নির্দেশনা দেওয়া হবে। অধ্যক্ষ বা প্রধান শিক্ষকের কাছে কমিটি গঠনের অনুমোদনের আবেদন করার নির্দেশনা দেওয়া হবে। সভাপতি ছাড়া শিক্ষক ও অভিভাবক প্রতিনিধির নাম পাঠাতে পারবেন প্রতিষ্ঠানপ্রধান। সভাপতি হবে বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক বা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর অধিকাংশ বেসরকারি স্কুল ও কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি আত্মগোপনে চলে যায়। অধিকাংশ সভাপতি ছিলেন আওয়ামী লীগের পদধারী ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। জনরোষ থেকে বাঁচতে তারা আত্মগোপনে চলে যান। পরিচালনা পর্ষদের অনুপস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে এক ধরনের বিশৃঙ্খলা দেখা যায়। বেতন বিলে কে স্বাক্ষর করবেন, এ নিয়ে সৃষ্টি হয় জটিলতা।

সার্বিক বিবেচনায় ২০ আগস্ট দেশের সব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিকে সরিয়ে দেয় অন্তর্বর্তী সরকার। পাশাপাশি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পদে জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসক বা জেলা প্রশাসকের মনোনীত প্রতিনিধি, উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং মহানগর এলাকায় বিভাগীয় কমিশনার বা বিভাগীয় কমিশনারের মনোনীত প্রতিনিধিকে সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু এতেও সমস্যা কাটেনি।

শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের অতিরিক্ত মহাসচিব জাকির হোসেন বলেন, ‘জেলা- উপজেলায় শতশত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। আর মহানগরীতে কয়েক হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এক জন বিভাগীয় কমিশনার, এক জন জেলা প্রশাসক বা এক জন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পক্ষে এত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সভাপতির দায়িত্ব পালন করা সম্ভব নয়। এতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনার ক্ষেত্রে হযবরল সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি শিক্ষা উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্টদের জানিয়েছি। এডহক কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছি।’

এদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রবিউল ইসলাম ইত্তেফাককে বলেন, ‘গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটির সমস্যার বিষয়টিতে আমরা অবহিত রয়েছি। এ বিষয়ে আমাদের কাজ চলছে। বোর্ড চেয়ারম্যানদের এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার গতকাল ইত্তেফাককে বলেন, ‘সব প্রতিষ্ঠানে এডহক কমিটি গঠন করা হবে। জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সভাপতি হবেন। ছয় মাসের জন্য এই কমিটি গঠন করা হবে। এই সময়ের মধ্যে নিয়মিত কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করতে হবে।’

আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর অনেক প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের চাপের মুখে প্রতিষ্ঠানপ্রধান পদত্যাগ করেছেন। অনেক প্রতিষ্ঠান প্রধান আত্মগোপনে রয়েছেন। প্রশ্ন উঠেছে, এক্ষেত্রে কমিটির জন্য কে আবেদন করবেন? এ বিষয়ে ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, প্রতিষ্ঠানপ্রধানের পদত্যাগের পর জেলা প্রশাসক বা বিভাগীয় কমিশনারের পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠানের একজনকে সাময়িক দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনিই কমিটির জন্য আবেদন করবেন।

সব প্রতিষ্ঠানেই নতুন অ্যাডহক কমিটি হবে

আপডেট সময় : ১০:৫৬:০৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা

দেশের সব বেসরকারি স্কুল-কলেজে নতুন করে এডহক কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে শিগগিরই নির্দেশনা দেওয়া হবে। অধ্যক্ষ বা প্রধান শিক্ষকের কাছে কমিটি গঠনের অনুমোদনের আবেদন করার নির্দেশনা দেওয়া হবে। সভাপতি ছাড়া শিক্ষক ও অভিভাবক প্রতিনিধির নাম পাঠাতে পারবেন প্রতিষ্ঠানপ্রধান। সভাপতি হবে বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক বা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর অধিকাংশ বেসরকারি স্কুল ও কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি আত্মগোপনে চলে যায়। অধিকাংশ সভাপতি ছিলেন আওয়ামী লীগের পদধারী ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। জনরোষ থেকে বাঁচতে তারা আত্মগোপনে চলে যান। পরিচালনা পর্ষদের অনুপস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে এক ধরনের বিশৃঙ্খলা দেখা যায়। বেতন বিলে কে স্বাক্ষর করবেন, এ নিয়ে সৃষ্টি হয় জটিলতা।

সার্বিক বিবেচনায় ২০ আগস্ট দেশের সব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিকে সরিয়ে দেয় অন্তর্বর্তী সরকার। পাশাপাশি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পদে জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসক বা জেলা প্রশাসকের মনোনীত প্রতিনিধি, উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং মহানগর এলাকায় বিভাগীয় কমিশনার বা বিভাগীয় কমিশনারের মনোনীত প্রতিনিধিকে সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু এতেও সমস্যা কাটেনি।

শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের অতিরিক্ত মহাসচিব জাকির হোসেন বলেন, ‘জেলা- উপজেলায় শতশত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। আর মহানগরীতে কয়েক হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এক জন বিভাগীয় কমিশনার, এক জন জেলা প্রশাসক বা এক জন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পক্ষে এত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সভাপতির দায়িত্ব পালন করা সম্ভব নয়। এতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনার ক্ষেত্রে হযবরল সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি শিক্ষা উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্টদের জানিয়েছি। এডহক কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছি।’

এদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রবিউল ইসলাম ইত্তেফাককে বলেন, ‘গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটির সমস্যার বিষয়টিতে আমরা অবহিত রয়েছি। এ বিষয়ে আমাদের কাজ চলছে। বোর্ড চেয়ারম্যানদের এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার গতকাল ইত্তেফাককে বলেন, ‘সব প্রতিষ্ঠানে এডহক কমিটি গঠন করা হবে। জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সভাপতি হবেন। ছয় মাসের জন্য এই কমিটি গঠন করা হবে। এই সময়ের মধ্যে নিয়মিত কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করতে হবে।’

আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর অনেক প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের চাপের মুখে প্রতিষ্ঠানপ্রধান পদত্যাগ করেছেন। অনেক প্রতিষ্ঠান প্রধান আত্মগোপনে রয়েছেন। প্রশ্ন উঠেছে, এক্ষেত্রে কমিটির জন্য কে আবেদন করবেন? এ বিষয়ে ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, প্রতিষ্ঠানপ্রধানের পদত্যাগের পর জেলা প্রশাসক বা বিভাগীয় কমিশনারের পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠানের একজনকে সাময়িক দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনিই কমিটির জন্য আবেদন করবেন।