সবার দোয়া আল্লাহ তাআলা কবুল করেন। যাদের দোয়া কবুল করা হয় তারা `মুসতাজাবুদ দাওয়াহ`। এ ছাড়াও এমন অনেক ব্যক্তি আছেন যাদের দোয়া আল্লাহ তাআলা সব সময় কবুল করেন। তবে হাদিসের ভাষায় চার শ্রেণির মানুষের দোয়া অতি দ্রুত কবুল হয়। যাদের দোয়া কখনো ফেরত দেওয়া হয় না। এসব ব্যক্তি কারা?
যে বা যারা আল্লাহর কাছে কোনো কিছু চায় বা প্রার্থনা করে; আল্লাহ তাআলা তাদের প্রতি খুশি হন। কেননা হাদিসে এসেছে, যে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে কোনো কিছু চায় না বা সাহায্য প্রার্থনা করে না; আল্লাহ তাআলা তাদের প্রতি রাগান্বিত হন।`
কোরআন নিয়ে ব্যস্ত মানুষের দোয়া
রাসুলুল্লাহ (সা.) হাদিসে কুদসিতে বলেন, ‘আল্লাহ তাআলা বলেন, যাকে আমার জিকির ও আমার কাছে কিছু চাওয়া থেকে কোরআন বিরত রেখেছে, আমি তাকে প্রার্থনাকারীদের চেয়ে বেশি দান করব।’ রাসুল বলেন, ‘কেননা আল্লাহর কালাম অন্য সব কালামের চেয়ে শ্রেষ্ঠ, যেমন আল্লাহ তাঁর সব সৃষ্টির চেয়ে শ্রেষ্ঠ।’ (তিরমিজি: ২৯২৬)
অনুপস্থিত ভাইয়ের জন্য দোয়া
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘কোনো মুসলিম তার অনুপস্থিত ভাইয়ের জন্য দোয়া করলে তা কবুল করা হয় এবং তার মাথার কাছে একজন ফেরেশতা নিযুক্ত থাকে। যখন সে তার ভাইয়ের জন্য কল্যাণের দোয়া করে, তখন নিযুক্ত ফেরেশতা বলে, আমিন। অর্থাৎ হে আল্লাহ, কবুল করুন এবং তোমার জন্য অনুরূপ (তোমার ভাইয়ের জন্য যা চাইলে, আল্লাহ তোমাকেও তা দান করুন)।’ (মুসলিম: ৮৮)
সম্মিলিত দোয়া
হাবিব ইবনে আলফিহরি (রা.) বলেন, ‘আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, মুসলমানদের একটি দল যখন একত্র হয়ে এভাবে দোয়া করে যে তাদের মধ্যে কেউ দোয়া করে আর অন্যরা আমিন আমিন বলতে থাকে, তাহলে অবশ্যই আল্লাহ তাআলা তাদের দোয়া কবুল করে থাকেন।’ (মুজাম আল কাবির: ১০ / ১৭০)
তাহাজ্জুদ আদায়কারীদের দোয়া
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘প্রতিদিন রাতের শেষ তৃতীয়াংশে আল্লাহ সবচেয়ে নিচের আসমানে নেমে আসেন। বলেন, কে আমাকে ডাকছ, আমি তোমার ডাকে সাড়া দেব। কে আমার কাছে চাইছ, আমি তাকে তা দেব। কে আছো আমার কাছে চাইছ, আমি তাকে তা দেব। কে আছো আমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনাকারী, আমি তাকে ক্ষমা করে দেব।’ (বুখারি: ৬৯৪)