০৬:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মেসিকে ক্ষমা চাইতে বলায় বরখাস্ত আর্জেন্টিনার ক্রীড়া কর্মকর্তা

কোপা আমেরিকা জয়ের পর বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছে আর্জেন্টিনা। শিরোপা উদ্যাপনে বর্ণবাদী গান গেয়েছিলেন এনজো ফার্নান্দেজ। পরে অবশ্য ক্ষমা চান এই আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার। এই ঘটনায় আর্জেন্টিনার অধিনায়ক লিওনেল মেসিকে ক্ষমা চাইতে বলেন দেশটির ক্রীড়া কর্মকর্তা আন্ডার সেক্রেটারি অব স্পোর্টস জুলিও গারো। উলটো তাকেই বরখাস্ত করেছেন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট জাভিয়ের মিলেই।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লাইভ ভিডিওতে বর্ণবাদী গান গাইতে দেখা যায় এনজো ফার্নান্দেজকে। তার সঙ্গে তাল মেলান সতীর্থরাও। সেই গানে ফ্রান্সকে নিয়ে অপমানজনক ও বর্ণবাদী ভাষা ছিল।

এই ঘটনার জের ধরে আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (এএফএ) সভাপতি ক্লদিও তাপিয়া মেসিকে ক্ষমা চাইতে বলেছিলেন গারো। তিনি বলেছিলেন, ‘জাতীয় দলের অধিনায়কের এ জন্য ক্ষমা চাওয়া উচিত। এএফএ সভাপতিরও ক্ষমা চাওয়া উচিত। এটা আমাদের গৌরবান্বিত দেশকে বাজে পরিস্থিতিতে ফেলেছে।’

এরপর আর্জেন্টিনা সরকারের অফিশিয়াল এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে গারোকে বরখাস্ত করার ঘোষণা দেওয়া হয়। সেখানে বলা হয়, ‘প্রেসিডেন্ট অফিস জানাচ্ছে যে আর্জেন্টিনা জাতীয় দল কিংবা কোনো নাগরিক কী ভাববে, কী করবে, সেটা কোনো সরকার বলতে পারে না। এ কারণে জুলিও গারো আর্জেন্টিনার আন্ডার সেক্রেটারি অব স্পোর্টসের দায়িত্বে থাকছেন না।’

বরখাস্ত হওয়ার পর গারো দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমার কথা যদি কাউকে আঘাত করে, তাহলে দুঃখিত। এটা আমার উদ্দেশ্য ছিল না।  তবে আমি সব সময়ই যেকোনো ধরনের বর্ণবাদের বিরুদ্ধে থাকব।’

Tag :

মেসিকে ক্ষমা চাইতে বলায় বরখাস্ত আর্জেন্টিনার ক্রীড়া কর্মকর্তা

আপডেট সময় : ০৩:৩৪:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই ২০২৪

কোপা আমেরিকা জয়ের পর বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছে আর্জেন্টিনা। শিরোপা উদ্যাপনে বর্ণবাদী গান গেয়েছিলেন এনজো ফার্নান্দেজ। পরে অবশ্য ক্ষমা চান এই আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার। এই ঘটনায় আর্জেন্টিনার অধিনায়ক লিওনেল মেসিকে ক্ষমা চাইতে বলেন দেশটির ক্রীড়া কর্মকর্তা আন্ডার সেক্রেটারি অব স্পোর্টস জুলিও গারো। উলটো তাকেই বরখাস্ত করেছেন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট জাভিয়ের মিলেই।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লাইভ ভিডিওতে বর্ণবাদী গান গাইতে দেখা যায় এনজো ফার্নান্দেজকে। তার সঙ্গে তাল মেলান সতীর্থরাও। সেই গানে ফ্রান্সকে নিয়ে অপমানজনক ও বর্ণবাদী ভাষা ছিল।

এই ঘটনার জের ধরে আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (এএফএ) সভাপতি ক্লদিও তাপিয়া মেসিকে ক্ষমা চাইতে বলেছিলেন গারো। তিনি বলেছিলেন, ‘জাতীয় দলের অধিনায়কের এ জন্য ক্ষমা চাওয়া উচিত। এএফএ সভাপতিরও ক্ষমা চাওয়া উচিত। এটা আমাদের গৌরবান্বিত দেশকে বাজে পরিস্থিতিতে ফেলেছে।’

এরপর আর্জেন্টিনা সরকারের অফিশিয়াল এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে গারোকে বরখাস্ত করার ঘোষণা দেওয়া হয়। সেখানে বলা হয়, ‘প্রেসিডেন্ট অফিস জানাচ্ছে যে আর্জেন্টিনা জাতীয় দল কিংবা কোনো নাগরিক কী ভাববে, কী করবে, সেটা কোনো সরকার বলতে পারে না। এ কারণে জুলিও গারো আর্জেন্টিনার আন্ডার সেক্রেটারি অব স্পোর্টসের দায়িত্বে থাকছেন না।’

বরখাস্ত হওয়ার পর গারো দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমার কথা যদি কাউকে আঘাত করে, তাহলে দুঃখিত। এটা আমার উদ্দেশ্য ছিল না।  তবে আমি সব সময়ই যেকোনো ধরনের বর্ণবাদের বিরুদ্ধে থাকব।’