কোটা সংস্কার আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে অপ্রীতিকর কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল না বলে মনে করে কর্তৃপক্ষ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ক্ষতিগ্রস্ত হলের কক্ষ সংস্কার করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হওয়া সাপেক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংঘাতের পর গত বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এরপর সংঘাতের ঘটনা তদন্তে কমিটি করা হয়। কমিটিকে আট সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপিএত বলা হয়, গত কয়েক দিনে ক্যাম্পাসে সংঘটিত অপ্রত্যাশিত ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে গভীরভাবে ব্যথিত করেছে। ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের একাডেমিক কার্যক্রম যেন কোনোভাবেই ব্যাহত না হয়, সে জন্য শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে প্রশাসন সচেষ্ট রয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সব সদস্যকে ক্যাম্পাসে একটি সুন্দর, নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে যার যার অবস্থান থেকে দায়িত্ব ও ভূমিকা পালনের অনুরোধ করা যাচ্ছে। কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে, যৌক্তিক দাবি আদায়ের আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে অপ্রীতিকর কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল না। তার পরও ক্যাম্পাসে সংঘটিত ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ক্যাম্পাসে শিক্ষার সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে এরই মধ্যে বেশকিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
পদক্ষেপগুলোর মধ্যে রয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোয় শুধু বৈধ শিক্ষার্থীরাই থাকবেন, তা নিশ্চিত করা ও প্রশাসনের নিজস্ব নীতিমালা অনুযায়ী হলগুলোয় মেধার ভিত্তিতে আসন বরাদ্দ দেওয়া; যৌক্তিক দাবি আদায়ের কর্মসূচি পালনের কারণে ক্যাম্পাসে নিরপরাধ শিক্ষার্থী যাতে ভবিষ্যতে কোনো ধরনের হয়রানির শিকার না হন, তা নিশ্চিত করা; জরুরি প্রয়োজন ছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ক্যাম্পাসের বিভিন্ন প্রবেশপথে অবস্থান করবেন, যাতে বহিরাগত ব্যক্তিরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটাতে না পারে।