যদি আপনি আয়কর দপ্তর থেকে এমন কোনো ইমেল পান যেখানে আপনাকে বলা হচ্ছে যে আপনি আইটি রিফান্ড পাবেন আর অন্যান্য সুবিধা পাবেন। বাজেটের কথাও উল্লেখ করা থাকতে পারে। কিন্তু এক্ষেত্রে সাবধান। এই ইমেলের পেছনে থাকতে পারে প্রতারকদের হাত। তারাই হয়তো আপনার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ছক কষছে। সে কারণে কোনো লিঙ্কে ক্লিক করার আগে খুব সাবধান। গোটা দেশ জুড়েই এই ধরনের প্রতারকরা ফাঁদ পেতেছে বলে খবর।
ভারতীয় পুলিশ ও আয়কর সংক্রান্ত উপদেষ্টাদের মতে, ২০১৮ সাল থেকেই করদাতাদের ফাঁদে ফেলতে এই ধরনের প্রতারণার জাল বোনা হচ্ছে। চলতি মাস কর দেওয়ার মাস। আর এই মাসেই করদাতাদের টার্গেট করছে প্রতারকরা।
সম্প্রতি এমনই একটা ফাঁদের সন্ধান মিলেছে। কলকাতার শহরে এক অবসরপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সরকারি চাকুরে এই ফাঁদে পড়েছেন। প্রতারকরা তার কাছ থেকে ৮৩ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। মেসেজে বাজেটে যেসব নতুন নীতি আনা হয়েছে তা শেখানো হবে বলে জানানো হয়েছিল। কিন্তু পুরোটাই ছিল ফাঁদ।
আর সেই লিঙ্কে ক্লিক করতেই সব টাকা হাওয়া। এদিকে আর কয়েকদিন মাত্র পড়ে রয়েছে এই রিফান্ডের জন্য ফাইল করতে। আইটিআর দাখিল করার জন্য আর মাত্র কয়েকটি দিন বাকি রয়েছে। সেক্ষেত্রে সতর্ক থাকার কথা জানিয়েছে ভারতের পুলিশ বাহিনী।
এবিষয়ে পুলিশ জানিয়েছে, এই প্রতারকরা ভুয়া মেসেজ পাঠাচ্ছে। তারা দাবি করছে কেন্দ্রীয় বাজেটে যে সুবিধা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে সেটা তারা জানাতে চাইছে। এর পর সেই মেসেজের সঙ্গে এপিকে ফাইলে একটা লিঙ্ক থাকছে। এই অ্যাপটা ডাউনলোড করলেই বিপদ। এই অ্যাপটা একেবারে আসল ব্যাংক অ্যাপের মতো। এর পর সেই ভুয়া ব্যাংকা অ্যাপে প্রয়োজনীয় তথ্য দিলেই বিপদ বাড়তে পারেন।
অন্যদিকে আইটিআর রিফান্ডের ক্ষেত্রেও একটি মেসেজ পাঠিয়ে সেখানকার লিঙ্কে রিফান্ডের জন্য় আবেদন করার কথা বলা হচ্ছে। আর সেখানে ক্লিক করলেই বিপদ। কারণ এগুলোর সঙ্গে আয়কর দপ্তরের কোনো যোগাযোগ নেই। এদিকে এই ওয়েবসাইটগুলো একেবারে আসলের মতো দেখতে। সেক্ষেত্রে খুব সাবধান।
যারা আইটিআর ফাইল করেন তাদের সাবধান থাকা দরকার। অন্য লিঙ্কে ক্লিক করলেই সব অ্য়াকাউন্ট ফাঁকা হতে পারে। সেক্ষেত্রে সাবধান না হলেই বিপদ। অনেক টাকা খোয়া যেতে পারে। সাবধান করছে পুলিশ।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস