০৬:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪

এইচএসসিতে ‘অটোপাস’ নিয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে

এইচএসসি ও সমমানের স্থগিত পরীক্ষাগুলো নতুন সময়সূচি অনুযায়ী আগামী ১১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরুর পরিকল্পনা করেছিল শিক্ষা বোর্ডগুলো। কিন্তু পরীক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে এই সময়সূচি বাতিল হতে পারে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পরীক্ষার্থীরা চান, ইতিমধ্যে যে কয়টি বিষয়ের পরীক্ষা হয়েছে, তার ভিত্তিতে পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হোক।

কারণ হিসেবে পরীক্ষার্থীরা বলছেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অনেক পরীক্ষার্থীও আহত হয়েছেন। পড়ালেখায়ও ক্ষতি হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তারা পরীক্ষায় বসার মতো অবস্থায় নেই।

এ দাবিতে পরীক্ষার্থীরা সোমবার (১৯ আগস্ট) ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সন্ধ্যায় যৌক্তিক দাবি পূরণের বিষয়ে ইতিবাচক আশ্বাস দেন ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ মো. আবুল বাশার।

এইচএসসি ও সমমানের স্থগিত পরীক্ষাগুলো আর দিতে চান না পরীক্ষার্থীরা। এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে প্রমোশন অথবা অটোপাস দেওয়ার দাবি তাদের। এ দাবিতে কয়েক দিন ধরে ঢাকাসহ সারা দেশে মানববন্ধন, বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি করছেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সভা হওয়ার কথা রয়েছে। সভায় এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে।

এ বিষয়ে আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, “মন্ত্রণালয়ে শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো জানিয়েছিলাম। সেখান থেকে কিছু মৌখিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেটা নিয়ে আবার মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) সভা হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে প্রধান উপদেষ্টা, শিক্ষা উপদেষ্টা, শিক্ষা সচিব, বোর্ড চেয়ারম্যানরা অংশ নিতে পারেন। সেখানেই সব কিছু চূড়ান্ত হবে।

গত ৩০ জুন এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। রুটিন অনুযায়ী ৮ দিন পরীক্ষা হওয়ার পর কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ১৮ জুলাইয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এরপর আর তিন দফায় পরীক্ষা স্থগিত করে সরকার।

সূচি অনুযায়ী, এখনো ১৩ দিনের মোট ৬১টি বিষয়ের পরীক্ষা বাকি রয়েছে। বিভিন্ন বিভাগের (বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য) বিভিন্ন বিষয় থাকায় এতগুলো পরীক্ষা আটকে গেছে। যদিও প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে ১৩টি বিষয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়। এরমধ্যে বাধ্যতামূলক বাংলা ও ইংরেজির চারটি বিষয় (প্রথম ও দ্বিতীয়পত্র) এবং আইসিটি। ৮টি বিষয় ঐচ্ছিক (অপশনাল)।

এইচএসসিতে ‘অটোপাস’ নিয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে

আপডেট সময় : ১০:০৪:৫৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অগাস্ট ২০২৪

এইচএসসি ও সমমানের স্থগিত পরীক্ষাগুলো নতুন সময়সূচি অনুযায়ী আগামী ১১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরুর পরিকল্পনা করেছিল শিক্ষা বোর্ডগুলো। কিন্তু পরীক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে এই সময়সূচি বাতিল হতে পারে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পরীক্ষার্থীরা চান, ইতিমধ্যে যে কয়টি বিষয়ের পরীক্ষা হয়েছে, তার ভিত্তিতে পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হোক।

কারণ হিসেবে পরীক্ষার্থীরা বলছেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অনেক পরীক্ষার্থীও আহত হয়েছেন। পড়ালেখায়ও ক্ষতি হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তারা পরীক্ষায় বসার মতো অবস্থায় নেই।

এ দাবিতে পরীক্ষার্থীরা সোমবার (১৯ আগস্ট) ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সন্ধ্যায় যৌক্তিক দাবি পূরণের বিষয়ে ইতিবাচক আশ্বাস দেন ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ মো. আবুল বাশার।

এইচএসসি ও সমমানের স্থগিত পরীক্ষাগুলো আর দিতে চান না পরীক্ষার্থীরা। এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে প্রমোশন অথবা অটোপাস দেওয়ার দাবি তাদের। এ দাবিতে কয়েক দিন ধরে ঢাকাসহ সারা দেশে মানববন্ধন, বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি করছেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সভা হওয়ার কথা রয়েছে। সভায় এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে।

এ বিষয়ে আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, “মন্ত্রণালয়ে শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো জানিয়েছিলাম। সেখান থেকে কিছু মৌখিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেটা নিয়ে আবার মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) সভা হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে প্রধান উপদেষ্টা, শিক্ষা উপদেষ্টা, শিক্ষা সচিব, বোর্ড চেয়ারম্যানরা অংশ নিতে পারেন। সেখানেই সব কিছু চূড়ান্ত হবে।

গত ৩০ জুন এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। রুটিন অনুযায়ী ৮ দিন পরীক্ষা হওয়ার পর কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ১৮ জুলাইয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এরপর আর তিন দফায় পরীক্ষা স্থগিত করে সরকার।

সূচি অনুযায়ী, এখনো ১৩ দিনের মোট ৬১টি বিষয়ের পরীক্ষা বাকি রয়েছে। বিভিন্ন বিভাগের (বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য) বিভিন্ন বিষয় থাকায় এতগুলো পরীক্ষা আটকে গেছে। যদিও প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে ১৩টি বিষয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়। এরমধ্যে বাধ্যতামূলক বাংলা ও ইংরেজির চারটি বিষয় (প্রথম ও দ্বিতীয়পত্র) এবং আইসিটি। ৮টি বিষয় ঐচ্ছিক (অপশনাল)।